বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী সাংবাদিক সামিয়া সরকার পেলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুদান বিএনপি নেতা সুলতান উদ্দিন মোল্লার মৃত্যুতে জাগপা’র কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হকের শোক বার্তা শিবপুরে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কিশোর গ্যাং: ওসি আফজাল হোসেন মাধবদীতে বিএসটিআই এর সার্ভিল্যান্স অভিযান বেগম জিয়াকে মান্নান ভূঁইয়ার কবরে মাফ চাইতে বলেছিলেন, আজ আপনারাই বড় নেতা : তোফাজ্জল হোসেন গরু চুরি করে বিএনপি নেতা ও তার স্ত্রীর ভূরিভোজের আয়োজন ভোটের আগের রাতেই ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর নেতৃত্বে তারা একজন নুরুল ইসলাম খানের কথা বলছি………… সাংবাদিক আলম খান নরসিংদী জেলা শিবপুর উপজেলায় জাকের পার্টির আজিমুশ্বান জলসা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে কেবি ফুড প্রোডাক্টস’কে মোবাইল কোর্টে জরিমানা

নৌ-সৈনিক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, বীর প্রতীক

নিউজ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে

সিরাজউদ্দীন আহমেদ (জন্ম: অজানা – মৃত্যু: ১৯৭২) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন
সিরাজউদ্দীন আহমেদের জন্ম নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের নেহাব গ্রামে। সাত ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। তার বাবার নাম মো. জোবেদ আলী এবং মায়ের নাম ঘোষেদা বেগম। তার স্ত্রীর নাম আলেয়া বেগম। তার চার ছেলে এক মেয়ে।

কর্মজীবন
১৯৭১ সালে সিরাজউদ্দীন আহমেদ চাকরি করতেন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তিনি ছুটিতে বাড়ি ছিলেন। ছুটি শেষ হলেও চাকরিতে আর যোগ দেননি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধে দেন। প্রতিরোধযুদ্ধকালে নরসিংদীর পাঁচদোনার যুদ্ধে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। এই যুদ্ধের পর তিনি স্থানীয় ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করে প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। নরসিংদীর পতন হলে তিনি সংগঠিত ছাত্র-যুবকদের সঙ্গে নিয়ে ভারতে যান। কয়েক দিন পর এলাকায় ফিরে স্থানীয় আরও কিছু ছাত্র-যুবককে সংগঠিত করে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে পাঠান। তারা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরে এসে তার অধীনে গেরিলা যুদ্ধ করেন। নরসিংদী সদর থানা ও এর আশপাশ এলাকায় অনেক যুদ্ধে তিনি অংশ নেন।

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
১৯৭১ সালের ১৩ আগস্ট নরসিংদী জেলার অন্তর্গত জিনারদী (ঘোড়াশালের পাশে) পাকিস্তান সেনাবাহিনী এখানে একটি ক্যাম্প স্থাপন করে। ১৩ আগস্ট দুপুরে মুক্তিযোদ্ধারা জিনারদীতে আক্রমণ করেন। আড়াই ঘণ্টা যুদ্ধের পর ১৫ জন পাকিস্তানি সেনা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সাতজন পালিয়ে যায়। একজন নিহত হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা জিনারদী রেলস্টেশন ধ্বংস করেন। এই যুদ্ধে সিরাজউদ্দীন আহমেদ অসীম সাহস ও বীরত্ব এবং কৌশল প্রদর্শন করেন। তারা ছিলেন মাত্র কয়েকজন। মূলত তার কৌশলী ভূমিকার জন্যই পাকিস্তানি সেনারা সেদিন পরাজিত হয়। সিরাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিতে আক্রমণ চালালেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে। আকস্মিক আক্রমণে হকচকিত পাকিস্তানি সেনারা। কিছুক্ষণ পর তাদের দিক থেকে শুরু হলো প্রতিরোধ। তুমুল যুদ্ধ চলতে থাকল। আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধারাই বিজয়ী হলেন। এ যুদ্ধ নিয়ে মুক্তিবাহিনীর ২ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক খালেদ মোশাররফ জানিয়েছিলেন, আগস্ট মাসের ১৩ তারিখে আমাদের একটি গেরিলা দল পাকিস্তানি সেনাদের জিনারদী ক্যাম্প আক্রমণ করে। আড়াই ঘণ্টা যুদ্ধের পর একজন নিহত, ১৫ জন আত্মসমর্পণ করে। সাতজন পালিয়ে যায়। গেরিলারা জিনারদী রেলস্টেশন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেয়। টেলিফোন যোগাযোগও তারা ধ্বংস করে। টিকিট ও অন্যান্য কাগজপত্র জ্বালিয়ে দেয়। ক্যাম্প থেকে আমাদের গেরিলারা একটি হালকা মেশিনগান, ১১টি রাইফেল, হালকা মেশিনগানের ৪৫০০ গুলি, ১টি স্টেনগান ও ১০০ রাউন্ড গুলি, ১০টি বেল্ট, ২৬ জোড়া বুট, ১৭ ক্যান আটা, ১১ পেটি দুধ ও আরও জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।

পুরস্কার ও সম্মাননা
বীর প্রতীক

নিউজটি শেয়ার করুন

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  
© All rights reserved © 2023 Narsingdinews24.com
ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট : উইন্সার বাংলাদেশ